শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ পরিবার ও এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের বসত বাড়িতে দূর্বৃত্তদের আগুন লাগানো অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাত অনুমান ১ঘটিকার সময় ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান জনাব কালাম হাওলাদারের বাড়ির একটি ঘরে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।কালাম হাওলাদার ভেদরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল মান্নান হাওলাদার এর ভাই। রুনা আক্তার সুবেদার মেজর বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন চৌকিদার এর মেয়ে।
কালাম হাওলাদার একজন প্রবাসী তাহার স্ত্রী ও ৩টি সন্তান নিয়ে একটি বিল্ডিং ঘরে বসবাস করে।কালাম হাওলাদারের/স্ত্রী রুনা আক্তারের ঘরের পিছনে একটি লাকড়ির ও অটোরিকশা রাখার ঘরে দূর্বৃত্তরা রাতে এই আগুন লাগিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে আগুনে পুড়ে গিয়েছে বিল্ডিংয়ের থাইগ্লাসের একটি জানালা,দুতলা ও নিচতলার পানির পাইপ সহ একটি টিনের ঘর।
যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করে আসছেন এই হাওলাদার পরিবারটি।এই পরিবারের বড় সন্তান হাজী আব্দুল মান্নান হাওলাদার বার বার নির্বাচিত একজন সফল পৌর মেয়র ও বর্তমান ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০শে জানুয়ারী ভেদরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন কে কেন্দ্র করে এই হাওলাদার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকেরা।
এদিকে সেই রাতেই ০৩.৪০মিনিটের সময় সহজ সরল ও নির্বিরোধ জীবনের অধিকারী, দিনমজুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের, কোড়ালতলি গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃদেলোয়ার হোসেন পাইকের দুইটি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে এই দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ভেদরগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম রশিদুল বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।তবে রুনা আক্তারের দাবি ওসি সাহেব আমার কোন কথা শুনে নাই এবং বলতেও দেয়নি, সে একা একা বিষয়টি তদন্ত করে চলে যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে দোষীদের খুজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন দিনমজুর দেলোয়ার হোসেন ও রুনা আক্তার সহ তাদের পরিবার।
এ বেপারে রুনা আক্তার ও দেলোয়ার হোসেন কে জিজ্ঞেসা করা হয় তারা কাউকে সন্দেহ করেন কি না। তারা সন্তেহপ্রবণ কারো নাম বলতে পারেননি। তবে তাদের ধারণা আশপাশের কেউ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সন্ত্রাসী চক্র।তারা বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তবে এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম রশিদুল বারী এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলার অনুমতি নেই বলে এড়িয়ে যান পরে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেনঃ———